পূর্ন বিকশিত অবস্থা হতে আস্তে আস্তে হিমাঙ্গ অবস্থা উপস্থিত হয়। জীবনি শক্তি অতিশয় ক্ষিন, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের চিন্হ পাওয়া যায় না।
নাড়ী অতি ক্ষীণ,সূতার ন্যায় দ্রুত,হাতের কব্জিতে প্রায়ই পাওয়া যায় না,পুরা শরীর বরফের মতো ঠান্ডা,হ্রদপিন্ডের ক্রিয়া অতি ক্ষীণ,চোখ মুখ চুপসিয়ে যায়,অর্ধনিমীলিত চক্ষু,চক্ষু কোটরাগত,গলা বসিয়া যায়,রোগী যদি অতি কস্টে কথা বলতে পারে তবে তাহাতে ফুসফাস সব্দ হয়,হাত পায়ের আঙ্গুল যেন অনেক সময় ভিজে চুপসে গেছে এমন মনে হয়,এক কথায় সমস্ত ইন্দ্রীয় গুলো ও শারিরিক সকল যন্ত্র অষার ও নিস্তেজ হয়ে পরে,দ্বিতীয় অবস্থায় যে অস্হিরতা লক্ষিত হয় তৎপরিবর্তে অসার ভাব উপস্থিত হয়।
ভেদ বমি একে বারে থামিয়া যায় কিংবা পরিমাণ অনেক কম এবং অসাড়ে নির্গত হয়,অনেক সময় ওয়াক বা কাটবমি হতে থাকে।হাতে ও পায়ের খিলধরা থেমে যায় কিংবা অনেক সময় অন্তর যখন রোগী যন্ত্রনায় চিৎকার করতে চেস্টা তখন দেখা দেয়।
কোন কোন সময় কোমা বা অচৈতন্য অবস্থা লক্ষিত হয় কিন্তু প্রায়ই জ্ঞা্ন লোপ হয় না। দেহের উত্তাপ সাধারণত : বগলে ৯০ হতে ৯৭ ডিগ্রি,মুখে ৭৭হতে ৯০ ডিগ্রি,গুহদ্বার বা যোনিপথে সামান্য অধীকতর উত্তাপ দেখা যায়,মৃত্যুর পূর্বে অনেক সময় উত্তাপ বাড়তে দেখা যায়।
ওলাউঠার বর্ধিত অবস্থায় অত্যাধীক ভেদ ও বমি হওয়ায় রক্তের জ্বলীয়াংশ নির্গত হয়ে যায় এবং তখন যে রক্ত থাকে উহা অত্যন্ত গাঢ় হওয়ায় শরীরস্থ অতি সুক্ষ ধমনীর শিরা সমুহ (Capillaries and Viens ) সুচারু ভাবে প্রবাহিত হতে পারে না এবং ফুসফুসের মধ্যে গিয়ে অক্সিজেন সাহায্যে উহা বিশোধীত হতে পারে না,এজন্য শরীরস্হ শোণীত সহজে দূষিত হয়ে পরে এবং শ্বাসকস্টাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
আমার এই লিখা শুধু মাত্র জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে,আপনারা অবশ্যই ইহার ভালো মন্দ যে কোন বিষয়ে কমেন্ট বক্স এ মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
ধন্যবাদ