Wednesday, June 12, 2019

কোব্রা ও নেজা, সাপের বিষ দ্বারা তৈরি ঔষধ।

কেউটে সাপের বিষ দ্বারা তৈরি হয় এ ঔষধ। এই ঔষধ হিমাঙ্গ অবস্থায় অনেক সময় অতিব কার্যকরী। ফুসফুস -সংক্রান্ত রক্তবহা নাড়ীতে pulmonary arteries রক্তের চাপ ( clot )  বেধে যাওয়ায় শ্বাসরোধ (  asphyxia )  হওয়ার উপক্রম হলে এই ঔষধে ভালো কাজ হয়,ভয়ঙ্কর শ্বাষ কস্ট,অনেক সময় হ্রৎপিন্ডের ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে রোগী খাবি খেতে থাকে ( gasping for breath ) এখানে এই ঔষধ অনেক ফল দায়ক।

ডাঃ সরকার বলেন যে, কোবরা দংশনে সাধারণতঃ শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু বরন করে অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ামক স্নায়ুকেন্দ্রের পক্ষাঘাত বশতঃ মৃত্যু হয়, syncope -নিবন্ধন রক্তাল্পতা ও হ্রৎপিন্ডের ক্রিয়ার জন্য নয়,এতে বুঝা যায় যে,শোণীত অপেক্ষা শ্বাষ নিয়ামক স্নায়ুকেন্দ্রের উপরই এই ঔষধের ক্রিয়া অধীক।

ফুসফুস সংক্রান্ত রক্তবহা নাড়ীতে রক্তের চাপ বেঁধে যাওয়ায় রোগী নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য আকুল ব্যাকুল করতে থাকে,শ্বাস -প্রশ্বাস ক্রিয়া অতি মৃদু ও অতিকস্ট অনূভুত হয়,পেটের উপর আস্তে আস্তে হাত রাখলে মাত্র অনুভব করা যায়।

 হ্রৎপিন্ডের অবষাদ ও হ্রৎপিন্ডস্থলে অস্বস্তিবোধ নাড়ী অতি মৃদু ও বিলুপ্ত প্রায়,রোগী অস্বাভাবিক ভাবে নিস্তব্ধ,অনুভূতি হীন,শরীর কাঠের মত শক্ত ও অষাড়,বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে,চক্ষু আলোকবোধ শুন্য,মুখ ও ওষ্ঠদ্বয় নড়তে থাকে,কখনো কখনো জ্ঞান  হারানো গরাইতে থাকে।রোগী কে দেখলে মদ্য পায়ীর মত মনে হবে।

হাইড্রোসিয়ানিক এসিড,আর্সেনিক বা ল্যকেসিসের লক্ষনের সহিৎ কোব্রার লক্ষনের অনেক সাদৃশ্য আছে। সেজন্য প্রথমোক্ত ঔষধ গুলো কাজ না হলে লক্ষনানুসারে কোব্রা প্রয়োগে ভালো ফল হয়।


এলকোহল এ কোব্রার শক্তি নস্ট হয়, এজন্য বিজ্ঞ চিকিৎসক গন ইহার চূর্ন ঔষধ প্রয়োগ করতে বলেন,ডাঃ মজুমদার বলেন যে উর্দ্ধক্রমে কাজ ভালো হয়।ডাঃ কালী ৩য় ও ৬ষ্ঠ চূর্ন প্রয়োগ করতে বলেন,ডাঃ সরকার ৬ষ্ঠ শক্তি ব্যাবহার করে ভালো ফল পেয়েছেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.