Sunday, June 9, 2019

কোষ্ঠবদ্ধতা আমাদের দেশের নিয়মিত ও পরিচিত রোগ।

লক্ষন- শিশু প্রত্যহ কয়বার মল ত্যাগ করবে উহা তাহার বয়স,সাধারনত সাস্থ ও পথ্যের উপর নির্ভর করে।মাতৃস্তন্যপায়ী শিশু ভুমিস্ট হওয়ার পর হতে ২মাস বয়স পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় দিনে ৩/৪বার মল ত্যাগ করবে। ৮ মাস হতে ২বৎসর বয়স পর্যন্ত দিনে ২ বার মল ত্যাগ করা স্বাভাবিক।
২বৎসরের অধীক বয়সী শিশু দিনে একবার বা দুই বার বাহ্যে হওয়া স্বাভাবিক। 

কোষ্ঠবদ্ধতা নির্নয় করতে হলে এই নিয়মের বিরুপ ব্যাতিক্রম হয়েছে এবং মলের প্রকৃতি কিরুপ তাহা বিবেচনা করা আবশ্যক।

 বয়স্ক শিশুদের ব্যাক্তিগত স্বাভাবিক মল ত্যাগের বিবরণ ও জানা আবশ্যক,কারন কোন কোন বালক -বালিকা দিনে একবার বা একদিন পর একদিন একবার মলত্যাগ করে সুস্থ থাকে।


সুতারং তাদের কোন প্রকার অসুস্থতা বোধ উহাদের বিলম্বে বা অসম্পূর্ণ ভাবে কোষ্ঠ পরিষ্কৃত হয় কিনা তাহা জানিয়া কোষ্ঠবদ্ধতা রোগ নির্নয় করতে হবে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই রোগকে বিলম্বিকা নামে অভিহিত করে।
যে রোগে কফ এবং বায়ু কতৃক ভুক্ত দ্রব্য দূষিত হলে উর্দ্ধ দিকে বা অধোদিকে নির্গত না হয় তাকে বিলম্বিকা বলে।
এই রোগের চিকিৎসা খুব কঠিন। 

মলত্যাগ এ বিলম্ব হওয়া,মলত্যাগকালে বেদনা,কঠিন,স্বল্প ও দূর্গন্ধ বিশিষ্ট মলত্যাগ,মলের স্বাভাবিক বর্নের বিকৃতি এ রোগের লক্ষন।
ইহা হতে শারীরিক ও মানষিক অবসন্নতা,মস্তক বেদনা,মস্তক ঘূর্নন,সর্বদা বিমর্ষভাব,হ্রদস্পন্দন প্রভৃতি আনুষঙ্গিক লক্ষন প্রকাশিত হতে পারে।

এই রোগ অনেকদিন অবধী পেটে মল সঞ্চিত থাকিলে ঐ মল পঁচিয়া ভীষন বিষাক্ত পদার্থের সৃস্টি করে। ঐ বিষ রক্তের সহিত শোষিত হয়ে প্রথমে যকৃতে যায়।যকৃৎ কোষগুলো এই বিষকে ধংষ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে এবং কিছুদিন পরে তাহারা নিস্তেজ হয়ে পরে এবং তখন যকৃতের ক্রিয়ার বিকৃতি ঘটে।
কোষ্ঠবদ্ধতা জনিত তখন দেহের বিভিন্ন যন্ত্রের কোষগুলোকে নিস্তেজ ও রোগ প্রবন করে তোলে এবং উহার ফলে যকৃতের নানাবিধ ব্যাধী,পেটফাঁপা,অম্ল,অজীর্ণতা,পাকাশয়ে বা ডিওডিনামে ক্ষত,অন্ত্র প্রদাহ,অর্শ,বাত,মূত্রগ্রন্থির প্রদাহ,মাথাধরা,বমি নানান রোগ উৎপন্ন হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.