গুপ্তাবস্হা : খাটি রোগ লক্ষন প্রকাশ পাবার কয়েকদিন পূর্ব হতে হজমের গোলমাল,শরীর ম্যাজ ম্যাজ ভাব,বমির ভাব বা বমনোদ্বেগ,সামান্য উদরাময়,নাভির চার পার্শ্বে বেদনা ও পিপাশা দেখা যায়।কোন কোন স্হলে প্রথমেই শ্বীত সহ জ্বর ও ততসঙ্গে উদরাময় এবং তারপরেই আমাশয় দেখা যায়।
ব্যাসিলারী ডিসেন্টারীর গুপ্তাবস্হা ৪৮ ঘন্টার ও কম বলিয়া নির্নিত হয়েছে। সে জন্য এই প্রকার আমাশয় হঠাৎ প্রকাশ পায়,ততসহ প্রায়ই কম্প,শির পীড়া, বমন ও ন্যুনাধীক জ্বর বর্তমান থাকে।জ্বর কম থাকতে পারে বা অনেক সময় ১০৩/১০৪ ডিগ্রি ও হয়। ব্যাসিলারী ডিসেন্টারীতে জ্বর কম বেশী থাকবেই। ইহা একটি নির্নায়ক লক্ষ্ণন।
প্রথম হতেই রোগী অস্বাভাবিক দূর্বল ও অবসন্ন হয়ে পরে।
মলের প্রকৃতি :
প্রথমত উদরাময় মত এবং শিঘ্রই আমাশয় মত বের হয়। সর্বাগ্রে আঠা বা জ্বেলীর মত বা সিদ্ধ সাগু দানার মত মল দেখা যায়।
প্রথমত উদরাময় মত এবং শিঘ্রই আমাশয় মত বের হয়। সর্বাগ্রে আঠা বা জ্বেলীর মত বা সিদ্ধ সাগু দানার মত মল দেখা যায়।
সাধারনত শিশুদের মলের রং সবুজ হয়।পরে রক্ত কনিকা মিশ্রিত এবং ক্রমশ শুধু আম ও রক্ত দেখা যায় রোগের প্রাবল্য অনুসারে ঘোর রক্ত বর্ন,কৃষ্ণ বর্ন দূর্গন্ধ যুক্ত বাহ্যে বা শুধু রক্ত বাহ্যে হতে থাকে।
উহাত কৃষ্ণ বর্ন শ্লৈশ্মীক ঝিল্লির অংশ মিশ্রিত থাকতে পারে।
ব্যাসিলারী ডিসেন্ট্রীতে অনেক সময় রোগীর মল সিরামের মত হয় এবং উহাতে পরিবর্তিত হিমোগ্লোবিন মিশ্রিত থাকায় মলের রঙ কালো হয়।
এই মল অত্যন্ত দূর্গন্ধ হয়ে থাকে।
সমস্ত দিনে রাতে ১০/১২ হতে ৬০/৭০ বার বাহ্যে হতে পারে।উহাতে সামান্য গন্ধ আশটে গন্ধ বা পঁচা গন্ধ থাকতে পারে।
ব্যাসিলারী ডিসেন্ট্রিতে বাহ্যে বার বার বেশী হয়।
অনেক সময় তরুন পীড়ায় রক্তের বিষাক্ততা বেশী থসকলে বাহ্যে সংখ্যা বেশী না হয়েও রোগী মারা যেতে পারে।