সাধারনত: পাকস্থলীতে কোন উত্তেজক দ্রব্য প্রবিষ্ট হলে এই ব্যাধী উৎপন্ন হয়ে থাকে।পাকস্থলী হতে এক প্রকার রস (gastric juice) বের হয়ে ভক্ষিত দ্রব্যকে পরিপাক করতে সাহায্য করে।যদি কোন কারণে এই রস পর্যাপ্ত পরিমাণে বের হতে না পারে তবে খাদ্য দ্রব্য হজম না হয়ে পাকস্থলীর শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির উপদাহ জন্মায় এবং পরে ব্যাথা উৎপন্ন করে।
অত্যন্ত গরম অথবা ঠান্ডা জিনিস ভক্ষণ,পচা মাছ,মাংস,চর্বি যুক্ত খাদ্য,আইসক্রিম,বরফ ইত্যাদি আহারের জন্য এই অবস্থা তৈরী হতে পারে।শৈত্যভোগের পর অথবা জ্বলে ভিজেও এই ব্যাধী উতপন্ন হয়ে থাকে।গ্রীষ্ম কালে এই পীড়ার প্রাচুর্য দেখতে পাওয়া যায়।কেহ কেহ বলেন খাদ্যে বিশেষ জিবানু প্রবিষ্ট হয়ে এমন অবস্থা উৎপন্ন করে এবং তাতে একই সময় একাধিক লোক আক্রান্ত হতে পারে।
টাইফয়েড,হাম,বসন্ত বিষর্প প্রভৃতি ব্যাধী হতে টকসিন( toxin) পাকস্থলীতে ক্ষরিত হয়ে এমন অবস্থা তৈরি করতে পারে।
লক্ষ্মণ :
আহারের গোলযোগ ব্যাধী হলে ক্ষুধামন্দা,মাথাধরা,বমিভাব,জিহ্বায় পুরু সাদা লেপ,ঢেকুর তোলা,কখনো কখনো চকচকে শ্লেষ্মা বমি,পিপাসা কিন্তু পানি পান করলে উহা বমি হয়ে যায়,পর্যায়ক্রমে শীত ও উত্তাপ,মৃদুজ্বর,অবসন্নতা প্রভৃতি লক্ষ্মণ এই রোগের প্রথম অবস্থায় দেখা দিয়ে থাকে,এই অবস্হাকে gastric fever বলে।
পাকস্থলীতে তিব্র বেদনা পাকস্থলী -প্রদাহের আর একটি বিশেষ লক্ষ্মণ,এত বেদনা হয় পেটে হাত দেয়া যায় না। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যাথা অনেক সময় সাংঘাতিক হয়ে উঠে।যে সকল শিশু বোতলে দুধ পান করে তাদের বোতল ভালভাবে পরিষ্কার না করার জন্য এমন রোগ হয়ে থাকে।
প্রথমত :
প্রথমত :
শিশু হঠাৎ দধীর ন্যায় বমি করে,বমি টক বা শ্লেষ্মা মিশ্রিত,পেটে বেদনার জন্য শিশু অনবরত কাঁদতে থাকে,পানাহার কিছু করলেই উহা বমি হয়ে যায়,পেট ফাঁপা থাকতে পারে।প্রচুর জ্বলবত দাস্ত হতে পারে,দাস্ত বমিতে শিশু অত্যান্ত দূর্বল ও অবসন্ন হয়ে পরে।ক্রমশ মস্তিষ্ক আক্রান্ত হবার জন্য শিশু মাথা চালিতে থাক,অবশেষে শিশু অবচেতন হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গাড় লাল বর্নের প্রস্রাব রোগের প্রথম দিকে দেখা যায়।
অনক সময় প্রচুর ভেদ হয় এবং তাতে রোগী আরাম বোধ করে,কোষ্ঠকাঠিন্যে রোগী বেশি কস্ট পায়।