সর্বশেষ

Friday, September 13, 2019

পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠি |

পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠি |

মা"রে,
শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হা'রানোর ব্যাথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
Family-Easytipsforlife

আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের পরিবর্তে মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অ'পেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি। আমি তখন ভেতরে বসে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতীর কাছে কি করে মুখ দেখাব। জানিস মা তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুজে পেয়েছিস। কিন্তু আমা'র জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে।

 মা"রে প্রত্যেকটা বাবা জানে র'ক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে। বাবারা সন্তানদের কতটা ভালবাসে তা বুঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা আমা'র লেখাগুলো পড়ে তোর খা'রাপ লাগতে পারে। কি করবো বল?

তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করেছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অ'পেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভাললাগাটাকে সহ'জে মানতে চায় না।

উত্তর টা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো,তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তর টা পেয়ে যাবি।তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।কিন্তু একটা বাবা বুঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর দাদুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,যদি মেয়ে হয় তাহলে,নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যাদানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো।তাই তোর প্রতি এত অ'ভিমান। মা'রে বাবার উপর রাগ করিস'না। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আম'রা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হব না কেন??

বাবা'রা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সু-পাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো।আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোন প্রতারনা'র ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো। তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারী। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেব। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধ'রার যন্ত্র'ণাটা সহ্য করতে পারছিনা।

ইতি তোর জন্মদাতা পিতা।

শেয়ার করুন।

Wednesday, September 11, 2019

মজার একটি গল্প ।

মজার একটি গল্প ।

বাসের ভিতর কে যেনো পাদ দিছে। গ্রামাঞ্চলে বাড়ির আশেপাশে কুত্তা মরা পড়ে থাকলে যেমন গন্ধ বের হয়, ঠিক তেমনি একটা বোটকা গন্ধ বের হয়েছে। প্রথম দিকে কয়েকজন দেখলাম নাক কুঁচকাচ্ছে, এখন রুমাল-শার্টের হাতা যার যা আছে তাই দিয়ে নাক চেপে আছে। গন্ধটা বাতাসের প্রতিটা অনুতে মিশে বাসের ভিতরে ছড়িয়ে পরেছে। ধারনা করা হচ্ছে ব্যাপারটা বাসের সামনের দিকে ঘটেছে। যেহেতু সামনের দিকে মহিলা সিট, তাই কেউ কোন উচ্চবাচ্য করছেনা। একজন আরেকজনের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।
বাসের সামনের দিকে দরজার পাশে মহিলা সিটে বসে ছিল বেশ ছিমছাম সুন্দরি এক মেয়ে। বাতাসে মেয়েটির চুল উড়ছিল। মেয়েটি একটি বই পড়ছিল। 

আজ সম্ভবত মেয়েটির পরীক্ষা আছে। বিদেশে বাসে ট্রেনে মানুষ গল্প উপন্যাস পড়ে। ঢাকার বাসে সেটা আদিখ্যেতা ছাড়া কিছুই না। বাসের চাপাচাপি আর গরমে দম ফেলাই যেখানে দুষ্কর সেখানে বাধ্য না হলে টেক্সট বইও কেউ পড়ে না।
আমি মেয়েটির দিকে একবার তাকিয়েছি যখন মেয়েটি বাসে উঠেছে। বাস তখন মোটামুটি ফাঁকা ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছি কোন মেয়ের দিকে তাকাব না। ইদানিং চোখের দৃষ্টি হেফাজতের চেষ্টা করছি। প্রথমে কিছুক্ষন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর থেকে আর হেফাজত সম্ভব হয়নি, অবাধ্য চোখ ঘুরেফিরে সেই মেয়ের দিকেই যাচ্ছিল। পাদ কেলেংকারির আগ পর্যন্ত যতবার মেয়েটির দিকে তাকিয়েছি তত টাকা পকেটে থাকলে এই গরমে বাসে করে যেতে হতো না। মেয়েটি এখন বইটি মুখে চেপে আছে। এই মেয়ে পাদ মারতেই পারে না, আমি দলিলে লিখে দিতে পারি।
Funy history-Easy tips for life

মেয়েটির বাম পাশে বসেছে স্থুলকায় এক মহিলা। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি হবে। মহিলা ভারি সাজ সেজেছেন। কপালে আবার লম্বাটে আরবি অক্ষরের আলিফের মত টিপ এঁকেছেন। ঘেমে মুখের সাদা মেক আপ কাদাটে হয়ে গেছে। মহিলার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখের রংয়ের সাথে কোন মিল নেই। শাড়ি পরেছেন, পেট বের হয়ে আছে। দেখতে বিচ্ছিরি দেখাচ্ছে। আমার ধারনা পাদটা এই মহিলাই মেরেছে। শাড়ির আঁচল মুখে চেপে আছে, যেন খুকুটি পাদ মারতেই পারে না। আমি দলিলে লিখে দিতে পারি পাদটা এই মহিলাই মেরেছে।

সামনের দিকে বসে আছে টাক মাথার এক ভদ্রলোক। তিনি কিছুক্ষন আগে হকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা কিনেছেন। তিনি পত্রিকায় ডুবে আছেন। টাক মাথা আর পত্রিকা ধরা বাম হাত ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার পাশে জানালার সিটে বসেছেন ছোটখাট মাঝবয়সী এক ভদ্রলোক। বাসে উঠার সময় দেখিছি তিনি ঘুমিয়ে আছেন। এখন জেগেছেন কিনা জানি না, হয়ত পাদের গন্ধে মরেই গেছেন।

তাদের পরের সিটে বসেছে দুই কলেজ পড়ুয়া ছেলে। গলায় কলেজের নামের ফিতা ঝুলছে। ওরা দুজন মোবাইলে মিনি মিলিশিয়া খেলছিল। কন্ডাকটর হাফ ভাড়া নিতে রাজি হয়নাই তাই কলেজের সামনে গেলেই দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়েছে। দুই চারটা চ বর্গীয় গালি বিনিময়ের পরে কন্ডাকটর হাফ ভাড়াই নিয়েছে। আমিও ভাবলাম বিশ্বজুড়ে পাঠশালা মোড় সবার আমি ছাত্র হিসেবে হাফ ভাড়া দিব, বেইজ্জত হবার ভয়ে আর সাহস করে বলতে পারিনি। ছেলে দুইটা ব্যাগের চেইন খুলে তার মধ্যে মুখ গুঁজে আছে এখন।

তাদের বামপাশের দুই সিটে বসেছেন এক হুজুর আর তার স্ত্রী। হুজুরের দাঁড়ি ভুঁড়ি দুইটাই আছে। হুজুরদের বউ সুন্দরী হয়। এই হুজুরের বউও সুন্দরিই হবে। দেখার উপায় নেই। বোরখা পরেছে। চোখের সামনে দিয়েও একটা পর্দা দেয়া। হুজুর একটু পর পর তার স্ত্রীর কানের কাছে মুখ নিয়ে কি যেন বলেন আর খেক খেক করে হাসেন। হুজুর এই মুহুর্তে তার টুপি খুলে মুখে চেপে ধরে আছেন।
তাদের পিছনের সিটে আমি বসেছি। আমার পাসে বসেছেন খবিশ টাইপের এক জঘন্য ভদ্রলোক। প্রথমে তিনি নখ দিয়ে নাকের ময়লা পরিষ্কার করছিলেন। নাকের ময়লা বের করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকেন তারপরে সামনের সিটে মুছে ফেলেন। এই মুহূর্তে তিনি নখ কামড়াচ্ছেন।

আমার পেছনের সিটে বসেছেন দুই জন শার্ট-ইন টাই পরা ভদ্রলোক। দুজনের হাতেই অফিস ব্যাগ। তারা এতক্ষন ডানহাত বামহাত নিয়ে আলোচনা করছিলেন। চিটাগাংয়ের সাতকানিয়ায় তাদের MLM কোম্পানি গাছের চাড়া রোপণ করেছে, সেই গাছ তাদের কাছে বিক্রি করেছে। দশটি চাড়া পাঁচ হাজার টাকা। দশ বছর পরে এই গাছ বিক্রি করে কোম্পানি তাদের দিবে ত্রিশ হাজার টাকা। এছাড়াও ডানহাত বামহাত খেলে কিভাবে তারা কোটিপতি হবে এবং তাদের কোন কোন লিডার কি কি ছিঁড়েছে সেই আলোচনাও হচ্ছিল। এই মুহুর্তে তারা নাকে রুমাল চেপে আছেন। দুজনের রুমাল একই কালারের।

তাদের পিছনে বসেছেন এক গ্রাম্য ভদ্রলোক। তার বেশভূষায় বুঝা যাচ্ছে গ্রাম থেকে খুব বেশি তিনি শহরে আসেননি। তার পাশে একটি সিলভারের পাতিল রাখা। পাতিলার ভিতর থেকে মাছের ছটফটানির আওয়াজ আসছে। পাদের গন্ধে মাছও ছটফট করছে।
এরই মধ্যে সামনের সিটের মোটা মহিলাটা বমি করে দিলেন। বমি যেয়ে পরল ড্রাইভারের গায়ে। ড্রাইভার সাইডে গাড়ি থামিয়ে দিলেন। মোটা মহিলাটা উপুড় হয়ে পরে গেল। সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমি সিট থেকে উঠলাম মহিলাকে সাহায্য করতে। এইতো সুযোগ সামনের সিটের সুন্দরির সামনে হিরো হবার। আমি এক পা আগাতেই কি যেন হলো। আর কিছু মনে নেই।

এরপর নিজেকে আবিষ্কার করি হাসপাতালে। ঘটনা যতদূর জানলাম পাদের গন্ধে কেউ অজ্ঞান হয়নি। সামনের সিটের ঘুমন্ত ভদ্রলোক একজন ল্যাব প্রফেসর ছিলেন। তার সাথে ছোট একটি হাইড্রোজেন সালফাইডের সিলিন্ডার ছিল যেটা বাসের ধাক্কায় পরে গিয়ে গ্যাস লিক করে। হাইড্রোজেন সালফাইড একটি গন্ধযুক্ত টক্সিক গ্যাস। তিনজন অজ্ঞান হওয়ায় হাসপাতালে এনেছে, আমি যাদের মধ্যে একজন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ডান পাশে তাকিয়ে দেখি পাশের বেডে সেই সুন্দরি ঘুমিয়ে আছে। ওয়ার্ডের ফ্যানের বাতাসে সামনের কয়েকটি চুল উড়ছে। ইচ্ছে করছে যেয়ে চুলগুলো সরিয়ে দেই। ঘুমন্ত মেয়েদের চেহারা এত নিষ্পাপ হয় জানা ছিল না। আমি মোবাইলে মেয়েটির একটি ছবি তুলে রাখি। হয়ত কথা হবেনা, হয়ত আর দেখা হবে না। দ্বিতীয় এই দেখাটাই কম কি?

তাহলে তৃতীয় ব্যক্তি কে অজ্ঞান হয়েছিল? বাম পাশে কাত হতেই সেই মোটা মহিলাটা জিজ্ঞেস করলেন, “ভাই, পাদটা কোন হারামির বাচ্চা মারছিল?

Wednesday, September 4, 2019

শিক্ষণীয় গল্প - মুসলিম দের জন্য ।

শিক্ষণীয় গল্প - মুসলিম দের জন্য ।



শিক্ষণীয় গল্পঃ-দয়া করে সবাই পুরো গল্পটি পড়বেন এবং শেয়ার করে  অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

এক বিবাহিত যুবক, কঠিন রোগে মৃত্যু শয্যায় তার স্ত্রীকে ডাকলেন। তার চোখ দিয়ে অনুশোচনার অশ্রু ঝরছে।যুবকের স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন, এবং এটিই তাদের প্রথম সন্তান,সে স্ত্রী কে বললো: দেখো,আমি সারা জীবনে নামাজ-রোজা করিনি! আজ মৃত্যু সময়ে ভুল ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু আমি নিরুপায় আমার আর কিছু করার সময় সুযোগ হলো না।

 যদি তোমার গর্ভের সন্তান বেঁচে থাকে, বড় হয় তাহলে তুমি তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিও। শুনেছি সন্তানের উসিলায়ও বাবা মা বেহেশতে যেতে পারে! স্ত্রী তাকে শান্তনা দিয়ে বললেন,তোমার কথাই রাখবো! দু দিন পর যুবক মারা গেলেন।এর কয়েক দিন পর তার স্ত্রীর একটি ছেলে জন্ম নিলো!অনেক কষ্টের মাঝে যখন ছেলেটির বয়স ছয় বছর পুর্ণ হলো তার মা তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিলেন! প্রথম দিন মাদ্রাসায় শিক্ষক তাকে একটি আয়াত শিখালেন। 

আয়াতটি হলো: 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! (পরম করুনাময় মহান আল্লাহ্ তায়ালার নামে শুরু করছি! ) মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী স্বামীর কবরের কাছে জিয়ারতে গেলেন! ছেলেকে কবরের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে মা বললেন, ঐ তোমার বাবার কবর।ওখানে গিয়ে তোমার বাবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। 

(মাদ্রাসায় পড়া শিশুরা প্রায় সব সময় তাদের শিখিয়ে দেয়া আয়াত বা কালাম এমনি এমনি পড়তে থাকে)

এত ছোট্ট শিশু কিভাবে দোয়া করতে হয়, কিছুই জানে না।কিন্তু মাদ্রাসায় শিখানো জীবনের প্রথম আয়াতখানা বার বার কবরের সামনে তিলাওয়াত করতে লাগলো। ওই ছোট্ট মুখের তিলাওয়াতের এমন শক্তি, আমার আল্লাহর দরবারে বিনা বাধায় পৌঁছে গেলো। 

মালিকের রহমতের দরিয়ায় বাঁধভাঙা জোয়ারের ডাক এসে গেলো! মহান আল্লাহ্ তায়ালা আজাবের ফেরেশতাদের বললেন, এই মুহুর্তে ওই কবরবাসীর কবর আজাব বন্ধ করে দাও!
ফেরেশতারা বললোঃ হে দয়াময় পরোয়ারদিগার এই লোকটির আমলনামায় এমন কী পুণ্য পাওয়া গেলো?

যে তার জন্য নির্ধারিত কঠিন কবরের আজাব ক্ষমা করে দেয়া হলো? ফেরেশতারা শোনো: কবরের উপরে একটা অবুঝ শিশু বার বার তিলাওয়াত করছে, "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"! তিলাওয়াতকারী এই কবরবাসীর ওয়ারিশ, তার অবুঝ সন্তান। সে স্বাক্ষী দিচ্ছে আল্লাহ্ রাহমানির রাহিম-আল্লাহ্ পরম দয়ালু।

আমি যদি কবরবাসীকে ক্ষমা না করি, তাহলে আমি কেমন দয়ালু? (সুবহানাল্লাহ) আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন... বাবা মার জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন।

 আল্লাহুম্মা রব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি সাগির......

Friday, August 23, 2019

ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তী করণীয়,অসাবধানতা বশত মৃত্যু বরন ।

ডেঙ্গু জ্বর পরবর্তী করণীয়,অসাবধানতা বশত মৃত্যু বরন ।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশের আনাচকানাচে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত বা পাওয়া যাচ্ছে।জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ,এই সময়টাতে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটে থাকে। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল এগিয়ে আসছে এবং লম্বা হয়েছে।এই বৎসর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ অনেকে মৃত্যু বরন করেছে । তাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মানুষের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
dengue-ডেঙ্গু জ্বর-Easy tips for life

ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চদ্র রায় বলেছেন, এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, তাই জ্বর হলে মোটেও অবহেলা করা উচিত না। জ্বরে আক্রান্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে উত্তম হবে। জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি-কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থাকে, সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে। আবার একই সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বর ও অন্য সমস্যাও হতে পারে। আবার ডেঙ্গু জ্বর নেমে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। কারণ,ডেঙ্গু জ্বর–পরবর্তী সমস্যায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।
খাদ্য গ্রহন?
প্রচুর পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ও খাওয়ার স্যালাইন। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানিজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এই সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই সর্বউত্তম।
যেসব ওষুধ সেবন উচিত নয় ।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না।কি ওষুধ খাওয়া যাবে আর কী ওষুধ খাওয়া যাবে না, তা ডাক্তারের পরামর্শে ঠিক করুন।
প্লাটিলেট বা রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তিত?
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্লাটিলেট অথবা রক্তকণিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি শরীরের কোনো অংশ দিয়ে রক্তপাত না হয়, তবে প্লাটিলেটের সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কখন প্লাটিলেট দিতে হবে, সেই বিষয়টি বরং চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
নারীর ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা ।
মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ হলে অনেক দিন পর্যন্ত রক্ত যেতে পারে। যাদের এখনো ঋতুস্রাব হয়নি, তাদেরও এই ডেঙ্গু জ্বরের কারণে তা শুরু হয়ে যেতে পারে। এমন হলে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসককে জানাতে হবে। তা না হলে প্রচুর রক্তপাত হতে হতে রোগী শকে গিয়ে মারাও যেতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলেই কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ?
ডেঙ্গু জ্বরের তিনটা স্তর রয়েছে।

প্রথম রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী এই ধরনের। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।

দ্বিতীয়ত ডেঙ্গু রোগীদের শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।তার পেটে ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে প্রচুর বা সে কিছুই খেতে পারছে না। শরীরের যেকোনো অংশে রক্তপাত হতে পারে, জন্ডিস দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় জ্বর ভালো হয়ে যায় কিন্তু রক্তচাপ কমে যায়, শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হতে হবে।
তৃতীয় ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।
পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে ।
জ্বর আক্রান্ত হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিক প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে, সেগুলো না করাই ভালো। জ্বর ভালো হলেও বিশ্রামে থাকতে হবে। কারণ, ডেঙ্গু জ্বর–পরবর্তী সমস্যা তাতে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কত দিন বিশ্রাম নিতে হবে তা ডেঙ্গু–পরবর্তী সমস্যার তীব্রতার ওপর নির্ভর করবে। তাই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।


Monday, August 12, 2019

কোরবানী-আপনার আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর হক আদায়ের চেস্টা করুন।

কোরবানী-আপনার আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর হক আদায়ের চেস্টা করুন।

          ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আপনি কোরবানী করেছেন কিন্তু শরীয়াহ অনুযায়ী হক আদায় করেছেন 
দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে
ঝিনুকের মা ঝিনুকের বাবাকে বললেন,
আমি তো পিঁয়াজ-মরিচ কেটে রেখেছিলাম,
কেউ তো গোশত পাঠালো না !
প্রতিবেশীরা আমাদের কথা ভুলে গেলো না তো ? আপনি কি একটু গিয়ে দেখবেন ?
কুসুমের বাবাঃ তুমি তো জানো আজ পর্যন্ত কারো কাছে আমি হাত পাতিনি
আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কোন না কোন ব্যবস্থা করে দেবেন ।
দুপুরের পর পীড়াপীড়িতে বের না হয়ে পারলেন না।
প্রথম গেলেন বড় সাহেবের বাড়ীতে ।
বললেন,বড় সাহেব ! আমি আপনার পড়শী । কিছু গোশত দেবেন ?
গোশত চাইতেই বড় সাহেবের চেহারা গোস্বায় লাল হয়ে গেল । তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন, কি জানি কোত্থেকে গোশত চাইতে চলে আসে-বলেই ধরাম করে দরজা বন্ধ করে দিলেন ।
অপমানে কুসুমের বাবার চোখে পানি চলে আসলো ।
ভারী পায়ে চলতে চলতে এবার গেলেন মিঁয়া সাহেবের ঘরের দিকে,
দরজায় করাঘাত করে বিনীতভাবে
কিছু গোশত চাইলেন ।
মিঁয়া সাহেব গোশতের কথা শুনেই বিরক্তিভরে তাকালেন ।
পলিথিনে কয়েক টুকরো গোশত দিয়ে
দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলেন ।
যাক ছোট মেয়েটাকে তো একটা বুঝ দেয়া যাবে, এমনটা ভাবতে ভাবতে কুসুমের বাবা ঘরে ফিরে এলেন।
ঘরে ফিরে পলিথিন খুলে দেখলেন
শুধু দুটো হাড্ডি আর চর্বি ।
চুপচাপ রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলেন।
এরই মধ্যে ছোট কুসুম
বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, বাবা !
গোশত লাগবে না। আমি গোস্ত খাবো না, আমার পেট ব্যাথা করছে।
মেয়ের একথা শুনে বাবা আর চাপা কান্না ধরে রাখতে পারলেন না ।
এমন সময় বাইরে থেকে
সবজি বিক্রেতা আকরাম ভাই ডাক দিলো । কুসুমের বাপ ঘরে আছেন ?
কুসুমের আব্বু দরজা খুলতেই আকরাম ভাই তিন- চার কেজি গোশতের একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বলল, গ্রাম থেকে ছোট ভাই নিয়ে এসেছে । এতো গোশত কি একা খাওয়া সম্ভব, বলেন ?
এটা আপনারা খাবেন ।
আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় কুসুমের বাবা
ভেজা চোখ মুছতে লাগলেন ।
অন্তর থেকে আকরামের জন্য দোয়া করতে লাগলেন।
গোশত রান্না করে সবাই মজা করে খেয়ে উঠতে না উঠতেই প্রচন্ড তুফান শুরু হলো ।
বিদ্যুৎও চলে গেল ।
সারাদিন গেল, এমনকি দ্বিতীয় দিনও বিদ্যুৎ এলো না তুফানে ট্রান্সমিটার জ্বলে গিয়েছিলো ।
কুসুমের বাবা
তৃতীয় দিন কুসুমকে নিয়ে হাঁটতে বের হলেন ।
বাবা-মেয়ে দেখলো,
বড় সাহেব ও মিঁয়া সাহেব গোশতে ভরা অনেকগুলো পোঁটলা ডাস্টবিনে ফেলছেন ।
বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা সব গোশত নষ্ট হয়ে গিয়েছে ।
ফেলে দেয়া পঁচা গোশতের উপর একদল কুকুরকে হামলে পড়তে দেখে কুসুম বলল, বাবা তারা কি
কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য কুরবানী করেছিলেন ?
পাশ থেকে মিঁয়া সাহেব ও হাজী সাহেব ছোট মেয়েটির কথা শুনে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললেন।
হ্যাঁ, এটিই আমাদের সমাজের
অধিকাংশ মানুষের বাস্তবচিত্র ।
আমরা যেন মিঁয়া সাহেব আর বড় সাহেবদের মতো না হই। লাইনে দাঁড় করিয়ে নয় বরং
(সম্ভব হলে) অভাবীদের ঘরে ঘরে কুরবানীর গোশত
পোঁছে দেই ।
গরুর গোস্ত-Easy tips for life

আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উত্তম বিনিময় পাওয়ার আশায় ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত নেক আ'মল গুলো কবুল করুন ।
আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো যেন মাফ করে দেন-
আমিন।

Sunday, August 11, 2019

রক্ত পরিশোধক ও চর্মরোগের চিকিৎসায়, ছাফী সিরাপ-SAFI syrup |

রক্ত পরিশোধক ও চর্মরোগের চিকিৎসায়, ছাফী সিরাপ-SAFI syrup |

            হারবাল রক্ত পরিশোধক এবং চর্মরোগের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক সমাধান 

বর্ণনা
ছাফী সিরাপ রক্ত পরিশোধক যা চর্মরোগ যেমন- ব্রন,ফোড়া,ফুসকুরি,বিবর্ণতা,আরটিকেরিয়া,চুলকানি,খুজলী-পাচড়া ইত্যাদি নিরাময় করে থাকে, নাকের রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে উপকারী, হজম সংক্রান্ত অসুবিধা দূর করে থাকে,মন প্রফুল্ল্য থাকে,শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে স্লিম বা স্মার্ট হতে অত্যন্ত সহায়ক ছাফী সিরাপ।

 ছাফী সিরাপ রক্ত বিশুদ্ধের পক্রিয়াকে  উদ্দিপ্ত করতে সহায়তা করে,ইহা মুত্র ও ঘাম নিঃসরন বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকতন্ত্রের গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাভাবিক মল ত্যাগে সহায়তা করে।ছাফী সিরাপ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগসমুহ কে সুরক্ষা করে থাকে, স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মধ্যপ্রাচ্য,আমেরিকা ও ইউরোপ সহ বিশ্বের অসংখ্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক সহ লক্ষ্য লক্ষ্য রোগী বিগত ১৯৩৯ সাল থেকে ছাফী সিরাপ সাফল্যের সহিত বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে ব্যাবহার করে আসছে।
ছাফী সিরাপ ঋতু পরিবর্তনকালীন সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করায় অত্যন্ত শুনাম অর্জন করেছেন।
ছাফী সিরাপ-SAFI syrup-Easy tips for life


উপাদান
ছাফী সিরাপ প্রতি ৫ মিলিতে আছে-(জলীয় নির্যাস হিসেবে)
নিম                                            ১.২৫ মিগ্রা
কালমেঘ                                      ১.২৫ মিগ্রা
চিরতা                                         ১.২৫ মিগ্রা
তুলশী                                          ২.৫০ মিগ্রা
সোনাপাতা                                   ১৭.০০মিগ্রা 
রেউচিনি                                    ১৩.০০ মিগ্রা 
কালকাসুন্দে                                  ১২.৫০ মিগ্রা 
তেউরী মুল                                    ২.০০ মিগ্রা 
গোলাপ ফুল                                    ২.০০ মিগ্রা 
মুন্ডি ফুল                                        ২.০০ মিগ্রা
নীলকন্ঠী                                        ২.০০ মিগ্রা
শাহতারা                                        ২.০০ মিগ্রা 
অপরাজিতা                                    ২.০০ মিগ্রা
নাগদানা                                        ২.০০ মিগ্রা 
শাপলা ফুল                                     ১.২৫ মিগ্রা 
শিশুপাতা                                       ১.২৫ মিগ্রা
রক্তচন্দন                                       ১.২৫ মিগ্রা
গুলুঞ্চ                                            ১.২৫ মিগ্রা 
হরীতকী                                        ১.২৫ মিগ্রা 
একাঙ্গী                                          ১.২৫ মিগ্রা 
রক্তকাঞ্চন                                      ১.২৫ মিগ্রা 
হলুদ                                             ১.25 মিগ্রা 
অন্যন্ন উপাদান                              পরিমানমত 
রোগ নির্দেশনা 
* চর্ম রোগ (ব্রন,ফুসকড়ি,ফোড়া,সোরাইসিস, বিবর্ণতা, একজিমা, শ্বেতী, ঘামাচি,চুলকানি, গরমের গুটিকা, আরটিকেরিয়া ইত্যাদি)
* কোষ্ঠকাঠিন্য                                           * জ্বর, হাম ও প্রদাহ 
* পাইলস                                                  * রক্তল্পতা
* ডায়াবেটিস                                             * মুখ ও গায়ের দুর্গন্ধ 
* অতিরিক্ত কোলেস্ট্রল                                 * রোগ জীবানূর সংক্রমন 
* উচ্চ রক্তচাপ                                           * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস 
* নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ                                  * পস্রাবের জ্বালা-পোড়া 
* বিষন্নতা ও অবসাদ
                           + সকল ওষোধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন ।

Saturday, August 10, 2019

কোরবানীর মাংস যেভাবে খাবেন।How to eat sacrificial meat

কোরবানীর মাংস যেভাবে খাবেন।How to eat sacrificial meat

 কোরবানি'র ঈদ ঘিরে অনেকটাই দৈনন্দিন আয়োজনে বাহারি গোস্তের রেসিপি এবং বাহারি খাবারের আয়োজন
Red meet-মাংস-Easy tips for life


সুচনা 
 কোরবানি'র ঈদ মানে নানা ধরনের রেদ মিটের (গরু,ছাগল,মহিষ,ভেড়া) খাবার।
রেড মিট পুস্টিগুন সম্পন্ন খাবার।তবে হৃদরোগী,কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে ।

প্রতিদিন কতটুকু পরিমান মাংস খাওয়া যাবে 
একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৮৫ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন।ছোট কয়েকটা মাংসের টুকরা নিলেই প্রায় ৮৫ গ্রাম হয়ে যায়,সাধারনত পশুর রানের মাংস ,সিনার মাংস,দাবনার মাংসে তুলনামুলক চর্বি কম থাকে।লাল মাংস খাওয়ার সময় এ ধরনের মাংস বেছে নেয়ার চেস্টা করবেন।

রান্নার নিয়ম
মাংস চর্বি ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে,তারপর কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করতে হবে।অবশ্যই অল্প তেল বা মসলা খাওয়ার চেস্টা করতে হবে,ঘি বা বাটার ব্যবহার করা যাবেনা।সবজি বা ডাল যেমন শালগম,বাধাকপি,ব্রুকলি,বরবটি,শিম,পেপে,কচুর ছড়া,মটর শুটি,বুটের ডাল,ক্যাপ্সিকাম দিয়ে রান্না করে খেলে চর্বির পরিমান কমানো যায় এবং তা সাস্থের জন্য উপকারী।ভুনা মাংস না খেয়ে বেক,গ্রিল,বা ঝোল করে রান্না করে সম্পূর্ণ মাংস খাওয়া যেতে পারে,তাতে কম ক্যালরি গ্রহন করা হয়ে থাকে।লাল মাংস খাওয়ার পরে সালাদ,তক দই খেতে পারেন।এসব শরীরে চর্বি শোষনে বাধা তৈরী করে।

উপকারিতা
*  লাল মাংস প্রোটিনের অনেক ভালো উৎস,পেশির গঠন,হাড়ের বৃদ্ধি  এবং ওজন বৃদ্ধিতে জন্য লাল মাংস খাওয়া অনেক উপকারী।বিশেষ করে শিশুদের বৃদ্ধির জন্য অতীব জরুরী।
*  লাল মাংস আয়রনের চমৎকার উৎস,গর্ভবতি নারী,কিশোরী,বয়স্ক লোক ও শিশুদের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লাল মাংস।

*  ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর ভালো উৎস লাল মাংস হওয়ায়  তা স্নায়ুতন্ত্র ও চোখের উন্নতি সাধন,হজমে সাহায্য,চুল,
ত্বক ও নখে্র বৃদ্ধিতে ও বি কমপ্লেক্সের অভাব জনিত রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
*  জিংকের ভালো উৎস হওয়ায় শরীরের জন্য লাল মাংস উপকারী,জিংক দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে,রুচি বাড়াতে, ক্ষত শুকাতে,দেহের বৃদ্ধি এবং প্রজনন সাস্থের উন্নতিতে সাহায্য করে।

অপকারিতা
*   লাল মাংস প্রচুর পরিমানে এলডিএল কোলেস্টরল,ট্রাইগ্লিসারাইড থাকায় তা রক্তে  কোলেস্টরল এর মাত্রা বাড়ায়।

*  স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি করে,যার কারনে হার্ট এটাক বা স্ট্রোক হয়।
*  ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
*  অতিরিক্ত লাল মাংস খেলে পেটে বদহজম হতে পারে,গ্যাস্ট্রিক এবং আলসারের সমস্যা বেড়ে যায়।
*  হৃদযন্ত্র, ক্ষদান্ত্র,পাকস্থলি,প্রোস্টেট,কোলন ও স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ে অতিরিক্ত  লাল মাংস আহারে।
*  আথ্রাইটি ওকিডনি ক্যান্সারের ঝুকি বেড়ে বাড়ে,ইউরিক এসিড বেড়ে যায়।

সতর্কতা
*  হৃদরোগিদের লাল মাংস না খাওয়াই ভালো,৫০ গ্রাম পর্যন্ত চর্বি ছাড়া মাংস খেতে পারেন।
*  কিডনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী এবং যাদের রক্তে  কোলেস্টরল মাত্রা অনেক বেশী,তাদের লাল মাংস যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত।

*  কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস থাকলে খুব সামান্য পরিমানে লাল মাংস গ্রহন করতে হবে,প্রচুর পানি,শরবত,ইসুবগুলের ভুষি খেতে হবে।
*  লাল মাংস চর্ম রোগ সংক্রান্ত ঝামেলা থাকলে এড়িয়ে যেতে হবে।

Friday, August 9, 2019

Carmina syrup | কারমিনা সিরাপ ।

Carmina syrup | কারমিনা সিরাপ ।

            পাকস্থলীর  শক্তিবর্ধক,বায়ুনাশক,কোষ্ঠপরিস্কারক ও লিভার সুরক্ষাকারক

বর্ণনা ঃ
কারমিনা সিরাপ পাকস্থলীর  শক্তিবর্ধক,লিভারের দুরবলতা,হজমের দুর্বলতা,অম্লাধিক্য,পেট ফাপা,বায়ুজনিত পেট ব্যাথা,অরুচি,চুকা ঢেকুর,বোমি ভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যে কার্যকরী।কারমিনা সিরাপ হজমের যাবতীয় গোলযোগ ও রোগ ব্যাধী দূর করার কাজে বিশেষ কার্যকরী।কারমিনা সিরাপ লিভারের বিপাকিয় কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংশোধন করে।কারমিনা সিরাপ পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্রম এর সমন্বয় এর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের ছন্দ পরিচালনা করে থাকে।
উপাদান ঃ
কারমিনা সিরাপ প্রতি ৫ মিলি আছে-
গোল মরিচ ( piper nigrum )              ১৫০ মিগ্রা
লেবু    ( citrus aurantifolia )              ১০০ মিগ্রা 
জৈন   ( Trachyspermum ammi )       ১০০ মিগ্রা 
দারুচিনি(Cinnamomum zeylanicum) ৫০ মিগ্রা
আমলকী  ( Emblica officinalis )         ৫০  মিগ্রা
হরিতকী    ( Terminalia chebula )       ৩৮ মিগ্রা 
বহেরা   ( Terminalia belerica )           ৩৮ মিগ্রা 
শুস্ক আদা  ( Zingiber officinale )        ১০  মিগ্রা 
সামুদ্রিক লবন   ( Sea salt )                   ৮   মিগ্রা
কারমিনা সিরাপ-karmina syrup-Easy tips for life
অন্যন্যা উপাদান                                পরিমানমত।
রোগ নির্দেশনা ঃ
* অম্লাধিক্য                                                                  
* পেট ফাপা
* বায়ুজনিত পেট ব্যাথা
* বদহজম                                                                    
* ক্ষুধামান্দ্য 
*  কোষ্ঠকাঠিন্য 
*  পাকস্থলীর দুর্বলতা
* লিভারের দুর্বলতা  
* বোমি ও বোমিভাব 
* চুকা ঢেকুর 
* বুক জালা-পোড়া 


+ সকল ওষোধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন ।

Thursday, August 8, 2019

সিনকারা সিরাপ ।। SINKARA  syrap ।

সিনকারা সিরাপ ।। SINKARA syrap ।

  সব ঋতুতে পরিবারের সবার সেবন উপযোগী বিশ্বনন্দিত হারবাল টনিক

বর্ণনা ঃ সিনকারা সিরাপ একটি  আদর্শ হারবাল শক্তিবর্ধক, যা দেহের সকল কোষ-কলায় যাওয়ার ক্ষমতা [ Bioavailabillty ]
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত। ইহা সব ঋতুতে পরিবারের সবার সেবন যোগ্য। মানুষের শরিরের প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক খনিজ,ট্রেস উপাদান ও প্রাকৃতিক ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমানে সিনকারা সিরাপ থেকে পাওয়া যায়।ইহাতে আছে বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ গাছের নির্যাস। যা শত বছর ধরে শক্তির যোগান, উদ্দিপনা এবং স্নায়ু ও পেশীর বল বর্ধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । ওষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে মানব জাতির বহু সতাব্দির লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সিনকারা সিরাপ এর  প্রস্তুত প্রনালী উদ্ভাবন করা হয়েছে। ইনভার্ট সুগার ও গোলাপ জলের  মিশ্রনের ফলে সিনকারা সিরাপ এ ব্যবহৃত উপাদান সমুহের কার্যকারিতা এবং দ্রুত রক্তের সাথে মিশে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কোশ-কলায় পোছার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়েছে, কার্যকারিতা ও দেহের কোশ-কলায় পোছার ক্ষমতার [  Bioavailabillty ] দিক থেকে ৩০ মিলি সিনকারা সিরাপ ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর সমান।

 সিনকারা সিরাপ এক অদ্বিতীয় ফর্মুলা যাতে আছে পৃথিবীর সব শক্তিবর্ধক ওশধের সম্মিলিত গুনাবলী। তাই  সিনকারা সিরাপ পরিবারের সবার জন্য সব ঋতুতে নিরাপদ ও কার্যকরী একটি  আদর্শ শক্তিবর্ধক ওষধ।

উপাদান ঃ প্রতি ৫ মিলি সিনকারা সিরাপ এ যা আছে -

সিনকারা সিরাপ।Sinkara syrap-Easy tips for life
গাজর                                                        -২০০ মিগ্রা 
আমলকী                                                    -১০০ মিগ্রা 
আগর                                                       -৫০   মিগ্রা
বড় এলাচ                                                  -৫০   মিগ্রা
ধনিয়া                                                      -৫০   মিগ্রা
নাগরমুথা                                                  -৫০   মিগ্রা
ছোট এলাচ                                                  -৫০  মিগ্রা
লবঙ্গ                                                         -৫০  মিগ্রা
জটামাংসী                                                   -৫০  মিগ্রা
একাঙ্গি                                                       -৫০  মিগ্রা 
দারুচিনি                                                    -৫০  মিগ্রা 
গোলাপ                                                      -৫০  মিগ্রা
শ্বেত চন্দন                                                  -৫০  মিগ্রা
তুলসী                                                        -৫০  মিগ্রা
শৈলজ                                                        -৫০  মিগ্রা
অন্যান্য উপাদান                                         পরিমানমত 

নির্দেশনা

* মেধা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস 
* অপুস্টি 
* শারিরিক ও স্নায়বিক দুর্বলতা                                                              
* গর্ভকালীন রক্তাল্পতা 
*  মাতৃদুগ্ধ নিঃসরন হ্রাস
* ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি                                                                        
* লিভারের গোলযোগ 
* রোগ আরোগ্যকালিন দুর্বলতা 
* এন্টিবায়োটিক সেবনজনিত দুর্বলতা 
* ক্ষুধামান্দ্য 
* মানুসিক চাপ ও হঠাৎ অসুস্থতা                                                               + সকল ওষোধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন ।

Monday, August 5, 2019

 চট্টগ্রাম এর ঐতিহ্যবাহী এতিম খানা |  Chittagong's traditional orphanage

চট্টগ্রাম এর ঐতিহ্যবাহী এতিম খানা | Chittagong's traditional orphanage

        বায়তুর রিদওয়ান ইয়াতীমখানা ও হেফজখানা                         মাদরাসা-ই-আবু হুরায়রা (রাঃ) দখিল।

কমপ্লেক্স এর প্রকল্প সমূহ।
আবু হুরায়রা (রাঃ) জামে মসজিদ,চট্টগ্রাম-Easy tips for life


* বায়তুর রিদওয়ান ইয়াতিমখানা।
* মাদরাসা-ই-আবু হুরায়রা (রাঃ) দাখিল।
* আবু হুরায়রা (রাঃ) আদর্শ ফোরকানিয়া মক্তব।
* বায়তুর রিদওয়ান হেফজখানা।
* হামিদ মাহবুব ইসলামী পাঠাগার। 
* মডার্ন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। 
* কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। 
* দাতব্য চিকিৎসালয় (প্রস্তাবিত)

মাদরাসা -ই- আবু হুরায়রা( রাঃ) ।

মাদরাসা-ই-আবু হুরায়রা (রাঃ) দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার নিজস্ব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রত্যেক ছাত্র /ছাত্রীর কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে মাদ্রাসার শিক্ষক - কর্মচারী সংখ্যা ১৭ জন এবং ছাত্র /ছাত্রীর সংখ্যা ৭৮৫জন।২০১৩ সালে ৫ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষায় ৯৮%পাশ,৮ম শ্রেণির JSC পরিক্ষায় ৯৯% এবং ২০১৪ সালের দাখিল ৯৫% ভাগ উত্তির্ন। ছাত্রদের জন্য রয়েছে একটি উন্নতমানের ছাত্রাবাস।

বায়তুর রিদওয়ান ইয়াতীমখানা ও হেফজখানা।

ইয়াতিমখানা ও হেফজখানার মোট ছাত্র সংখ্যা ২৫০জন, তন্মধ্যে ইয়াতিম ৮০জন।
বাকি ছাত্রগুলো অনেকটাই অসচ্ছল পরিবারের। যৎসামান্য খোরাকীতে লেখাপড়া করছে। ইয়াতিমদের স্বতন্ত্র আবাস ব্যবস্থা, পরিচর্যা, পাঠদান, খাদ্য, শিক্ষা উপকরণ, পোশাকাদি চিকিৎসা সহ যাবতীয় ব্যায়ভার ইয়াতিমখানা কতৃপক্ষ বহন করেন। এই ব্যায়ের বাৎসরিক পরিমাণ প্রায় ছত্রিশ (৩৬) লক্ষ 
টাকা। ইয়াতিমখানার কোন স্থায়ী আয় না থাকায় দানশীল ব্যক্তিদের নিকট হতে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে ইয়াতিমখানার যাবতীয় খরচাদি পরিচালনা করা হয়।

মাদরাসা-ই-আবু হুরায়রা (রাঃ) দাখিল,চট্টগ্রাম-Easy tips for life

ব্যবস্থাপনা ।

শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ আবু হুরায়রা( রাঃ)আদর্শ ফোরকানিয়া মক্তব। নূরানী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২জন শিক্ষকের তত্বাবধানে পাঠদান সম্পন্ন হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে হেফজ উপযোগী ছাত্রদের নাজারা খানায় ভর্তি করা হয়। পাঁচ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হাফেজে কোরআনের তত্ত্বাবধানে হেফজখানা পরিচালিত হয়।নাজারা খানা ও হেফজখানায় বর্তমানে ১৫০ জন ছাত্র আছে। ১ জন পরিচালক ও ৪জন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ইয়াতিমখানা পরিচালিত হয়।ইয়াতিম ছাত্রদের সঠিক রুটিন অনুযায়ী লেখাপড়া,গোসল, খাওয়া -দাওয়া, খেলাধুলা,ও নিদ্রা ইত্যাদি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়। ইয়াতিম ছাত্রদের ধর্মভীরু,আদর্শ ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তেলার ত্রুটিহীন চেস্টায় সংশ্লিষ্টরা নিবেদিত। 
বর্তমান 
অবস্থা ।

ছাত্রদের থাকার জন্য প্রতি ফ্লোর ৪০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট চারতলা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ মোটামুটি সমাপ্তির পথে। এছাড়া ছাত্রদের নামাজ পড়তে অজুর সমস্যা রয়েছে। মসজিদের দ্বিতীয় তালায় কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। পরিকল্পনাধীন রয়েছে একটি দাতব্য চিকিৎসালয়।

কমপ্লেক্সের সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম ।
বায়তুর রিদওয়ান ইয়াতিমখানা ভবন-Easy tips for life

★খৎনা কার্য সম্পাদন - ৩৫ জন
★ বৃক্ষরোপন অভিযান -২০০ 
★শীত বস্ত্র বিতরণ -২০০০ জন 
★কাফনের কাপড় বিতরণ -৭ জন
★ বিনামূল্যে চক্ষু শিবির -২৫ জন।

যোগাযোগের ব্যবস্থা ।

তুলাতলী,নাসিরাবাদ,পোঃ পলিটেকনিক,থানা ঃ খুলশী,চট্টগ্রাম-৪২০৯,ফোনঃ৬৮৩২৬২
 পরিচালক ঃ ০১৮১২৯২৭০১২
 জাকির হোসেন রোড, ওমেন কলেজ মোড় থেকে সরাসরি নাসিরাবাদ গার্লস স্কুল সংলগ্ন রাস্তা হয়ে রেল লাইনের
 উত্তর পার্শে তুলাতলীতে অবস্থিত।

দানশীল ব্যক্তিদের যোগাযোগ ।

সরাসরি ইয়াতিমখানায় , অথবা একাউন্ট নং - ৪১১৩ , ইসলামী ব্যাংক লিঃ, আন্দরকিল্লা শাখা, চট্টগ্রাম।

 পরিচালক ঃ ০১৮১২৯২৭০১২

Thursday, August 1, 2019

অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি।

অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি।

অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি ফারিয়াকে ডেকে বলল, আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিস ট্যুরে থাইল্যান্ড যাচ্ছি। যাবে নাকি আমার সাথে? লেটস এনজয়।

Funny photos - Easy tips for life


.অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি ফারিয়াকে ডেকে বলল, আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিস ট্যুরে থাইল্যান্ড যাচ্ছি। যাবে নাকি আমার সাথে? লেটস এনজয়।
ফারিয়া তার স্বামী সোহেলকে ফোনে বলল, সোহেল আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে থাইল্যান্ড যাচ্ছি, তুমি কোনো দুষ্টামি করো না কিন্তু, ভালো ভাবে থেকো !
.
সোহেল তার গার্লফ্রেন্ড সামিয়াকে ফোন করে বলল, আমার স্ত্রী দেশের বাইরে যাচ্ছে, বাসা খালি। তুমি এক সপ্তাহের জন্য চলে এসো। লেটস এনজয়!
.
সামিয়া তার ছাত্র রনিকে ফোন করে বলল, শোনো আমি এক সপ্তাহ পারিবারিক কাজে ভয়াবহ ব্যস্ত থাকব, তোমার এই সপ্তাহ ছুটি। তুমি এনজয় কর!
.
রনি তার বাবাকে ফোন করে বলল, ‌'বাবা, কাল থেকে আমার প্রাইভেট সাতদিনের জন্য বন্ধ। তুমি এই সাতদিন কোথাও যেতে পারবে না, তোমার সাথে অনেক মজা করব!' লেটস এনজয়!
.
ছেলের ফোন পেয়ে বাবা অফিসের সেক্রেটারিকে বলল, ‌'ফারিয়া, আমার অন্য আর একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে। এই সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাওয়া হচ্ছে না। ট্রিপটা ক্যানসেল করতে হচ্ছে।'
.
ফারিয়া তার স্বামী সোহেলকে ফোনে বলল, শোনো আমার যাওয়া হচ্ছে না। ট্যুর ক্যানসেল হয়ে গেছে। তোমাকে একা একা থাকতে হবে না। আমি আছি পাশে। লেটস এনজয়!
.
সোহেল তার গার্লফ্রেন্ড সামিয়াকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বলল, এই শুনো, আমার স্ত্রী কোথাও যাচ্ছে না তাই তোমার আর কষ্ট করে আসতে হবে না!
তাই শুনে সামিয়া তার ছাত্র রনিকে ফোন করে বলল, আমার পারিবারিক যে কাজটা ছিল সেটা মিটে গেছে। তুমি কাল সকাল থেকে যথারীতি পড়তে আসবে।
.
রনি সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে ফোন করে বলল, 'বাবা আমি এই সপ্তাহে আর ফ্রি হতে পারলাম না। কারণ প্রাইভেট ম্যাডাম একটু আগে যেতে বলেছে। সামনে পরীক্ষা, অনেক পড়তে হবে!'
.
সঙ্গে সঙ্গে পার্থর বাবা ফারিয়াকে ফোন করে বলল, 'শোনো, আমার যে অন্য আরেকটা ইমপোর্টেন্ট কাজ ছিল সেটা তোমার জন্য ক্যানসেল করেছি, চল কালই থাইল্যান্ড যাব। ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে ফেল। লেটস এনজয়!'
সঙ্গে সঙ্গে ফারিয়া আবার ফোন দিল সোহেলকে। সোহেল দিল সামিয়াকে। সামিয়া দিল রনিকে...আর এভাবেই তারা এনজয়-এর পরিকল্পনা করতে করতে বসবাস করিতে লাগিলো।


এই গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক,হাসি ও মজার গল্প,কাওকে ব্যাক্তিগত আঘাত করা বা কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই।